ভারিসু তামিল মুভি – Varisu Tamil Movie

Last updated on November 29th, 2024 at 02:49 pm

ভারিসু তামিল মুভি

২০২৩ সালের মুক্তিপ্রাপ্ত ভারিসু মুভি হল একটি ভারতীয় তামিল ভাষার অ্যাকশন নাট্যকার মুভি। শ্রী ভেঙ্কটেশ্বর ক্রিয়েশনস পিভিপি সিনেমার অধীনে মুভিটি প্রযোজনা করেছেন দিল রাজু ও শিরিস এবং মুভিটি পরিচালনা করেছেন বংশী পৈডিপল্লি। মুভিটির চিত্রনাট্যকার বংশী পৈদিপল্লী ও বিবেক, কাহিনিকার হরি ও আশীষ সোলায়মান, সুরকার থামান এস, চিত্রগ্রাহক কার্তিক পালানি এবং সম্পাদক প্রবীণ কে. এল। এতে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন বিজয়, আর. শরৎকুমার, রশ্মিকা মন্দানা, শ্রীকান্ত, প্রভু ও শাম।

মুভিটি ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে থালাপ্যাথি ৬৬ শিরোনামের অধীনে ঘোষণা করা হয়। কারণ এই মুভিটি থালাপ্যাথি বিজয় অভিনীত ৬৬ তম মুভি। ২০২২ সালের এপ্রিলে প্রধান ফটোগ্রাফি শুরু হয় এবং ডিসেম্বরে শেষ হয়। বাল্লারি, বিশাখাপত্তনম এবং লাদাখে বিক্ষিপ্ত সময়সূচী সহ মুভিটির বেশিরভাগ শ্যুটিং করা হয়েছে হায়দ্রাবাদ এবং চেন্নাই-এ।

সেভেন স্ক্রিন স্টুডিও পরিবেশনায় “পোঙ্গল” সপ্তাহে ২০২৩ সালের ১১ জানুয়ারি বিশ্বব্যাপী প্রেক্ষাগৃহে ভারিসু মুক্তি পায়। মুভিটির নির্মাণব্যয় ২০০-২৮০ কোটি টাকা এবং আয় ২৯০-৩১০ কোটি টাকা। এটি ২০২৩ সালের সর্বোচ্চ আয়কারী ভারতীয় মুভির ষষ্ঠ স্থান লাভ করে, যা বিশ্বব্যাপী সর্বোচ্চ আয়কারী তামিল মুভির মধ্যে একটি এবং বিজয়ের ক্যারিয়ারে সর্বোচ্চ আয়।

অভিনয়ে:

  • বিজয়
  • আর. শরৎকুমার
  • শ্রীকান্ত
  • শাম
  • রশ্মিকা মান্দান্না
  • জয়সুধা
  • সঙ্গীতা
  • প্রকাশ রাজ
  • আনন্দ পদ্মনাভন
  • যোগী বাবু
  • গণেশ ভেঙ্কটরমন
  • সম্যুক্ত শানমুঘনাথন
  • সঞ্জনা তিওয়ারি
  • অদ্বৈত বিনোদ
  • হর্ষিতা “হর্ষু” অজয়
  • সুমন
  • মাইম গোপী
  • পন্ডি রবি
  • নন্দিনী রাই
  • ম্যাথু ভার্গিস
  • নিমিশা নাম্বিয়ার
  • শ্রীমন
  • ভিটিভি গণেশ
  • ভরথ রেড্ডি
  • ডি.আর.কে. কিরণ
  • রাজন বিড
  • কিকি বিজয়
  • এস জে সূর্য
  • সতীশ

কাহিনী সংক্ষেপ:

একজন বিখ্যাত বিলিয়নিয়ার “রাজেন্দ্রন পালানিসামির” ছোট ছেলে বিজয় রাজেন্দ্রন। যিনি খাদ্য বিতরণ স্টার্টআপ চালু করার সিদ্ধান্ত নেয় এবং পারিবারিক ব্যবসায় যোগ দিতে অস্বীকার করেন, ফলে তার বাবা তাকে বাড়ি থেকে বের করে দেন।

৭ বছর পরে রাজেন্দ্রন পালানিসামির ৪-এ অগ্ন্যাশয়ের ক্যান্সারে আক্রান্ত হন এবং তিনি মাত্র ৮ থেকে ১০ মাস বেঁচে থাকতে পারেন। যে কারণে তিনি তার শেষ অবস্থা প্রকাশ করার সিদ্ধান্ত নেন এবং তার মৃত্যুর আগেই তার বড় দুই ছেলে জয় ও অজয়কে তার উত্তরাধিকারী হিসেবে অভিষিক্ত করবে বলে মন স্থির করেন। সে জন্য তিনি তার ৬৫তম জন্মদিনটি জমকালোভাবে উদযাপন করার পরিকল্পনা করেছেন এবং সেই দিনি উদযাপনের পরে ছেলেদেরকে উত্তরাধিকারী ঘোষণা করবেন। বিজয় তার মা সুধা রাজেন্দ্রনের নির্দেশে আমন্ত্রিত হন, কারণ মা কখনো ছেলেকে ভূলে থাকতে পারে না এবং তিনি এখনও বিজয়কে খুব ভালোবাসে।

এদিকে জয় তার স্ত্রী আরতির সাথে প্রতারণা করছে, কারণ সে একাধিক পরকীয়ায় লিপ্ত রয়েছেন। অজয় ঋণের ফাঁদে পড়ে যান, কারণ তিনি একজন অর্থদাতা মুকেশের কাছে থেকে ৫৫০ কোটি টাকা লোন নেন। কিন্তু অজয় মুকেশকে টাকা শোধ করতে পারেনি তখন মুকেশ তার বাবার ব্যবসায়িক প্রতিদ্বন্দ্বী জয়প্রকাশের (জেপি) কাছে তাদের কোম্পানির গোপনীয়তা ফাঁস করার প্রস্তাব দেন। বড় দুই ভাই জয় ও অজয় তারা একে অপরের সাথে কথা বলে না এবং তারা তার বাবার উত্তরসূরি হওয়ার জন্য একে অপরকে নাশকতার চেষ্টা করেন। অন্যদিকে, বিজয় আরতির ছোট বোন দিব্যার সাথে দেখা করে, তারা একে অপরকে খুব ভালোবাসে।

রাজেন্দ্রন পালানিসামির জন্মদিনের দিন উদযাপনের সময় স্মিতা, জেপি ও মুকেশের মাধ্যমে জয় ও অজয়ের মুখোষ খুলে যায় ফলে তাদের পুরো পরিবার ধ্বংস হয়ে যায়। সব শুনে আরতি জয়ের সাথে বিবাহবিচ্ছেদ করতে চান এবং তার জন্য ফাইল করার সিদ্ধান্ত নেয়। রাজেন্দ্রন পালানিসামির অজয়ের বিশ্বাসঘাতকতার কারণে “জেপির” কাছে একটি ব্যবসায়িক চুক্তি হারায়। তিনি বুঝতে পেরেন যে তার ব্যবসার সাম্রাজ্য চালানোর ক্ষমতা তার বড় ছেলেদের নেয়, সে জন্য তিনি বিজয়ের সাথে যোগাযোগ করেন। বিজয় প্রথমে তার বাবার কথা প্রত্যাখ্যান করে দেয়, কিন্তু পরে যখন জানতে পারে তার বাবা অসুস্থ তখন তিনি আর না করতে পারলেন না ফলে দায়িত্ব নিতে রাজি হন।

বিজয় ব্যবসাযর দ্বায়ীত্ব গ্রহন করলে জয়, অজয় হিংসা ও হতাশা গ্রস্থ হড়ে পড়েন এবং বাড়ি ছেড়ে চলে যায়। তারা মুকেশ ও জেপির সাথে হাত মেলায় যাতে বিজয়কে চেয়ারম্যানের পদ থেকে সরাতে পাড়েন। কিন্তু বিজয় তাদের তৈরি করা সকল বাধা অতিক্রম করতে সক্ষম হয় এবং সুন্দরভাবে পারিবারিক ব্যবসা পরিচালনা করতে থাকেন।

বিজয় জয় এবং আরতির মেয়ে রিয়াকে মানব পাচারকারী চক্র থেকে উদ্ধার করেন। এ ঘটনার পর জয় তার ভুল বুঝতে পারে ফলে সে আরতি, বিজয়সহ পরিবারের সবার কাছে ক্ষমা চান এবং পরিবারের সকলের সাথে পুনরায় মিলিত হন। তারপর তারা দুজন এক হয়ে অজয়কে তাদের কোম্পানির শেয়ার “জেপির” কাছে বিক্রি করা থেকে বিরত রাখেন এবং তাকে তার ভুলগুলি উপলব্ধি করতে দলবদ্ধ হন।

এখন আবার পুরো পরিবার একত্রিত হয়েছে। রাজেন্দ্রন এবং সুধার আনন্দের জন্য তারা একসাথে একটি হৃদয়গ্রাহী খাবার খান। তারপরে রাজেন্দ্রন মারা যান তখন তার তিন ছেলে একসাথে তার শেষকৃত্য করেন এবং বারাণসীতে গিয়ে তার ছাই ছড়িয়ে দেন। মুভিটি একটি বার্তা দিয়ে শেষ হয়, যে কোন পরিবারই নিখুঁত নয় তবে প্রত্যেকের একটিই পরিবার রয়েছে।
———————–
————————–
ডাউনলোড করুন নিচের লিংক থেকে। ১ম লিংক থেকে ডাউনলোড না হলে ২য় লিংক থেকে ডাউনলোড করবেন।



কোনো কারণে ডাউনলোড না হলে অনুগ্রহ করে কমেন্টে জানাবেন।

আপনি কি নতুন নতুন মুভির আপডেট সবার আগে পেতে চান? তাহলে আমাদের ফেজবুক এবং টেলিগ্রাম গ্রুপে জয়েন করুন। এই গ্রুপে এখন থেকে সকল নতুন মুভির ডাউনলোড লিংক পাবেন।

Scroll to Top